বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত দিন ৭ নভেম্বর। এ দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। অনেকের কাছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, অনেকের কাছে সৈনিক-জনতার অভ্যুত্থান দিবস, আবার অনেকের কাছে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস।
ঘটনাবহুল এই দিনটিকে সারা দেশে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ আলোচনা সভা করার অনুমতি পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে এক্ষেত্রে ১৮টি শর্ত বেঁধে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে ৫ পর্যন্ত পল্টন মডেল থানাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা করার অনুমতি দেয়া হলো। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএমপির বেঁধে দেয়া ১৮ শর্ত হলো-
১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সভার যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত করা যাবে না।
৭. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৮. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে- এমন কোনও ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেয়া বা প্রচার করা যাবে না।
৯. সভা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।
১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে সভার সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।
১১. সভা সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।
১২. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সভা করতে হবে এবং অন্য লেনগুলো কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।
১৩. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়-এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৪. রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেয়া যাবে না।
১৫. উস্কানিমূলক কোনও বক্তব্য দেয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৬. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
১৭. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৮. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ছাড়া এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।